বিশ্বের ৫জন শীর্ষ তরুণ এবং প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার - সায়াকা মারুয়ামা
লেখিকা - অনন্যা মণ্ডল
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফটোগ্রাফি বা ছবি তোলা কিন্তু আজকাল আর নেহাত শখের বিষয় নয়, কারও কারও পেশাও হয়ে উঠেছে। আর ফটোগ্রাফাররাও আজকাল নিজেদেরকে ভিজুয়াল আর্টিস্ট বলতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এরকমই একজন কম বয়সী অথচ প্রতিভাবান মহিলা ফটোগ্রাফার বা ভিজুয়াল আর্টিস্ট হলেন সায়াকা মারুয়ামা (Sayaka Maruyama)।
১৯৮৩ সালের জাপানের একটা ছোট শহরে তাঁর জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের বাসিন্দা। তাঁর পড়াশোনা এবং চর্চা সমস্তটাই জুড়ে ছিল ফটোগ্রাফির প্রতি প্রবল আকর্ষণ। ২০০৫ সালে জাপানের আর্ট কলেজ থেকেই তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর প্রথম কাজ প্রকাশিত হয় তার দুবছর পর ২০০৭ সালে। বইয়ের নাম ছিল 'মেমোরনন্দাম ও'। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। লন্ডন, টোকিও প্রভৃতি শহরে তাঁর ছবির প্রদর্শনী বিভিন্ন নামজাদা ম্যাগাজিন ও প্যামফ্লেটে তাঁর ছবির প্রকাশনা তাঁকে নিঃসন্দেহে অনেক খ্যাতি এবং সাফল্য এনে দিয়েছে। এমন কি দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি, সিলভার শটস্ ম্যাগাজিন, আইমেজিং প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ছবির বিষয় বিশদে আলোচিত হয়েছে আপামর আর্টপ্রেমী মানুষের কাছে।
Image Source: silvershotz.com |
মারুয়ামার ছবি নিয়ে চর্চা শুধুমাত্র ফটোগ্রাফিতেই থেমে থাকেনি। আরও বিভিন্ন ভিসুয়াল আর্ট যেমন শর্ট ফিল্ম, ডকুমেন্টেশন পেইন্টিং কোলাজ প্রকৃতি বৈচিত্র্যময় মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়ে তাঁর অবাধ আনাগোনা। জাপানের প্রাচ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং পাশ্চাত্য সৌন্দর্যবোধ তার ছবিতে যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ছবি যে শুধু পেন পেপার রং তুলির কাজ নয় সেকথা ডিজিটাল মাধ্যমে বার বার ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন সায়াকা মারুয়ামা।
তাকে জাপানের আভে গার্ত ফটোগ্রাফি একজন অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর আর্ট এর মূল উপজীব্য বিষয় হল একাকীত্ব, প্রকৃতি সাধারণ অথচ অতুলনীয় সৌন্দর্য্য, বাস্তব আর পরাবাস্তবের দোলাচল, সমাজের সমসাময়িক টানা পোড়েন ইত্যাদি। তাঁর ছবি নেহাতই নিষ্প্রাণ আর্ট নয়। তিনি সবসময়ই ব্যক্তিগত এবং সার্বজনীন আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনকি তার প্রথম বইতেও মানুষের বিভিন্ন মুহূর্তের আবেগকে এলোমেলো অথচ সুসজ্জিত করে সংগ্রহ করে করেছেন এবং তার মধ্যে দিয়ে এক অপূর্ব কাব্যিক সংলাপের সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন "আমি কোনো অতুলনীয় সৃষ্টি করার জন্য ভিজুয়াল আর্ট করিনা, বরং আমি কেবলমাত্র চেষ্টা করি যাতে আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে সৌন্দর্যকে কীভাবে উপলব্ধি করি, তা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে পারি আমার ছবির মাধ্যমে।" একথা বলাই পাপ হল যে তার কাজের অনুভূতি এবং ব্যাখ্যা দর্শকের মন পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
এই বিখ্যাত তরুণ ভিজুয়াল আর্টিস্ট সায়াকা মারুয়ামা-কে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইমেল নীচে দেওয়া হলো। তোমরা যদি ফটোগ্রাফি নিয়ে উৎসাহী হও আর যদি তাঁর কাজ সম্পর্কে আরও কৌতূহলী হও, তাহলে একটা মেইল পাঠিয়েই দিতে পারো এই ঠিকানায় - konomadinc@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন