পোস্টগুলি

ধারাবাহিক গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অর্ঘ্য - পর্ব ২

ছবি
  লেখকঃ-  সঞ্জিতকুমার সাহা ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করো ৪      পুলকেশ দোতলার যে ঘরে বসেন সেখান থেকেই দেখা যায় অসীমবাবুর বাগানের পুরো ছবি। ওই তো স্কুলের গা ঘেঁষে, একেবারে পাঁচিলের গায়ের কাছেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাতাবি লেবুর গাছ। সেখানে ঝুলছে অসংখ্য বাতাবি লেবু। দিনে দিনে বড়ো হচ্ছে। একেকটা ছোটোখাটো ফুটবলের মতো। এরপরে আতা গাছে আতা, বেল গাছে বেল। ডালিম গাছেই তো কত ডালিম। দেখলে কার না লোভ হয়! আর ওরা তো বাচ্চা। ওরা ওই বাতাবি পেড়েই বা কী করবে! খেতে পারত? কিন্তু ওরা যে সেদিন বাতাবিই পেড়েছিল তার প্রমাণও মিলেছে। দুদিন আগে দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে বাতাবির খোল পড়ে থাকতে দেখা গেছিল। তার মানে ওটা ওই বাগানেরই লেবু ছিল। সেদিন কিছু মনে হয়নি। মনে হয়েছিল কেউ হয়তো বাড়ি থেকে এনে বন্ধুরা মিলে মজা করে খেয়েছে। তারই দু-চারটি খোল হয়তো পড়ে ছিল। আজ মনে হচ্ছে, ওগুলো ওই বাগানেরই ছিল। কিন্তু এই অপকর্ম কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি, পুলকেশ জানতেও চাননি।    ...

অর্ঘ্য - পর্ব ১

ছবি
  লেখকঃ-  সঞ্জিতকুমার সাহা ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ ১ এমন যে একটা কাণ্ড ঘটতে পারে পুলকেশ ভাবতেও পারেননি। এখানে এই স্কুলে কাজ করাও তো দেখতে দেখতে সাত-আট বছর হয়ে গেল। এরকম ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। কিন্তু এবারে ঘটল। তাও আবার টিআইসি হওয়ার পরে পরেই। 

ব্যাং রাজকুমারী - পর্ব ৪

ছবি
  (রুশ রূপকথা) ভাবানুবাদঃ - অনন্যা মণ্ডল ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ দেশে-দেশে  রাজপুত্র ইভান   তার একমাত্র স্ত্রীকে খুঁজে বেড়াতে লাগল। সে  রাস্তায়-রাস্তায়  এত ঘুরলে যে তার চটি গেল ছিঁড়ে। জামাকাপড় হয়ে গেল মলিন। বৃষ্টিতে তার টুপি ভিজে ছুপচুপে হয়ে গেল। এমন দুর্দশায় একদিন হঠাৎ করে দেখা হল এক বৃদ্ধ মানুষের সঙ্গে।  সেই  বৃদ্ধ তাকে  জিজ্ঞাসা করলে  "বাছা, তুমি কি কিছু খুঁজছো?"   রাজপুত্র উত্তর দিল সে তার একমাত্র স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছে এবং তাকেই সে খুঁজতে বেরিয়েছে। তাই শুনে  বিস্তর দুঃখ প্রকাশ করে সেই বৃদ্ধ  বলেন, "হায় হায় রাজপুত্র, তুমি করেছ কী? কী ভেবে তুমি তার ব্যাঙের খোলস কে পুড়িয়ে ফেললে? তোমার এটা করা একদম উচিত হয়নি। আসলে ব্যাপারটা হল ভ্যাসিলিসা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী এবং জ্ঞানী। ছোটবেলা থেকেই সে তার বাবার চেয়েও বেশি বুদ্ধি রাখত। তাই একদিন তার বাবা রেগে গিয়ে তাকে তিন বছরের জন্য ব্যাং হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দেন।"  এরপর সেই বৃদ্ধ তার জ...

ব্যাং রাজকুমারী - পর্ব ৩

ছবি
  (রুশ রূপকথা) ভাবানুবাদঃ - অনন্যা মণ্ডল ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ রাজপুত্র ইভান এত বিশাল ভোজের খবর পেয়েও খুশি হওয়ার বদলে মনমরা হয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলো। এবার তার একটাই চিন্তা কিভাবে সে একটি ব্যাং-কে নিজের স্ত্রী হিসেবে সকলের সামনে নিয়ে যাবে। বরাবরের মতো এবারও ঘরে ঢুকতেই দেখল লাফাতে লাফাতে ব্যাংটি তার কাছে উপস্থিত হয়েছে।  তারপর তাকে জিজ্ঞেস করল "এবার কী সমস্যা রাজপুত্র? আবারও তোমাকে এমন দুঃখী দেখাচ্ছে কেন? রাজামশাই কি আবার নতুন কিছু আজ্ঞা দিয়েছেন?" রাজপুত্র তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। তারপর খুব দুঃখের সঙ্গে আক্ষেপের সুরে বলল, "এখন বাবার আয়োজন করা ভোজে আমি কীভাবে তোমাকে লোকজনের সামনে নিয়ে যাই? লোকে কী বলবে?" ব্যাং উত্তর দিল,  "দুঃখ করোনা রাজপুত্র। তুমি সময় মতন ভোজে উপস্থিত হও। আমি ঠিক সময় মতন সেখানে চলে যাব। তোমাকে শুধু একটা ছোট্ট কাজ করতে হবে। যখনই তুমি হল ঘরের দরজায় টোকা দেওয়ার আওয়াজ এবং তার সাথে বিদ্যুতের গর্জন  শুনবে ; ভয় পেয়ো না। আর সেই সময় তোমাকে যদি কেউ জিজ...

ব্যাং রাজকুমারী - পর্ব ২

ছবি
  (রুশ রূপকথা) ভাবানুবাদঃ - অনন্যা মণ্ডল ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ কিছুদিন পর আবার রাজা তাঁর তিন ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। এবার বললেন,  " আমি চাই তোমাদের প্রত্যেকের স্ত্রী আমার জন্য একটা করে পাউরুটি বানাবে। আমি দেখতে চাই কে সবথেকে সেরা রাঁধুনি। "  

ব্যাং রাজকুমারী - পর্ব ১

ছবি
  (রুশ রূপকথা) ভাবানুবাদঃ - অনন্যা মণ্ডল ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------ সে অনেক বছর আগের কথা। রাশিয়ায় এক রাজা ছিলেন। তাঁর ছিল তিন ছেলে। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হতেই একদিন তিন ভাইকে ডেকে পাঠালেন তিনি।  বললেন, "শোনো বাছারা, আমি বুড়ো থুড়থুড়ে হয়ে যাওয়ার আগেই বাপু তোমরা এবার বিয়ে থা করে ফেলো। আমারও তো সাধ যায় একটি দুটি নাতি নাতনির মুখ দেখি।" ছেলেরা বললে "বেশ তবে তাই হোক! আপনার আশীর্বাদ নিয়ে এবার আমরা বিবাহের প্রস্তুতি শুরু করি। কিন্তু বিয়ে যে করবো তেমন কন্যা কোথায় পাই ?"  রাজা বললেন, "এক কাজ কর তোমাদের তীর ধনুক নিয়ে বেরিয়ে পড়ো খোলা মাঠে। প্রত্যেকে নিজের নিজের ধনুক নিয়ে একটি করে তীর ছুঁড়ে দ্যাখো সেই তীর যেখানে গিয়ে পড়বে সেইখানেই পাবে তোমাদের বিবাহযোগ্যা পাত্রী"।